অগ্নিবীর ফর্ম ফিলাপ ২০২৫ || Agniveer Form Fill up 2025
অগ্নিবীর এর ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ ২০২৫।
এই ফর্ম ফিলাপ Process চলবে আগামী ১০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।
প্রয়োজনীয় নথিঃ -
১/ মাধ্যমিক এডমিট কার্ড।
২/ মাধ্যমিক পাস সার্টিফিকেট।
৩/ আধার কার্ড।
৪/ এছাড়াও ৫ টি সাবজেক্ট এ ৩৩+ নম্বর লাগবে।
৫/ এবং মোট Percentage 45% লাগবে।
উপরুক্ত নথি ভরপুর থাকলে আপনিও আগ্নিবীর এ ফর্ম ফিলাপ করার জন্য উপযোগী হবেন।
২০২৫ সালে অগ্নিবীর নিয়োগের জন্য, পুরুষদের জন্য ন্যূনতম উচ্চতার প্রয়োজনীয়তা ১৬২ সেমি এবং মহিলাদের জন্য ১৫২ সেমি, ওজন উচ্চতা এবং বয়সের সাথে সমানুপাতিক হবে ।
এখানে আরও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলঃ
ভারতীয় সেনা অগ্নিবীর:
সাধারণ দায়িত্ব (পুরুষ): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬২ সেমি।
সাধারণ দায়িত্ব (মহিলা): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬২ সেমি।
কারিগরি (পুরুষ): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬৫ সেমি।
অফিস সহকারী/স্টোর কিপার টেকনিক্যাল (পুরুষ): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬২ সেমি।
ট্রেডসম্যান ১০ম পাস (পুরুষ): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬৬ সেমি।
ট্রেডসম্যান ৮ম পাস (পুরুষ): সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬৬ সেমি।
ওজন: উচ্চতা এবং বয়স অনুপাতে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর অগ্নিবীর:
পুরুষ: সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৫২.৫ সেমি।
মহিলা: সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৫২ সেমি।
ওজন: উচ্চতা এবং বয়স অনুপাতে।
বুক: বুকের পরিধি সর্বনিম্ন ৭৭ সেমি এবং প্রসারণ সর্বনিম্ন ৫ সেমি।
গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ
উচ্চতা শিথিলকরণ:
উত্তর-পূর্ব বা উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি অঞ্চলের প্রার্থীরা ন্যূনতম ১৪৭ সেমি উচ্চতার জন্য যোগ্য হতে পারেন।
লাক্ষাদ্বীপের প্রার্থীরা:
লাক্ষাদ্বীপের প্রার্থীদের উচ্চতা ন্যূনতম ১৫০ সেমি হতে পারে।
আবাসিক সার্টিফিকেট:
উচ্চতা শিথিলকরণ সুবিধা গ্রহণকারী প্রার্থীদের অবশ্যই স্থায়ী স্থায়ীত্বের অনুমোদন সহ একটি স্থায়ী স্থায়ী ঠিকানা শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
চিকিৎসা মান:
প্রার্থীদের দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মান পূরণ করতে হবে।
ফিটনেস:
প্রার্থীদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ওজন:
ওজন উচ্চতা এবং বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।
নীচে আরও বিস্তারিতভাবে জানানো হল, এর ভালো দিক ও মন্দ দিকগুলি।
১. আগ্নিবীর ২০২৫ ফর্ম ফিলাপ কারা করতে পারবে?
আগ্নিবীর স্কিমের আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যেসব প্রার্থী যোগ্য তাদের জন্য ফর্ম ফিলাপ করা যাবে। ২০২৫ সালের জন্য যোগ্যতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:
ক) বয়স সীমা
প্রার্থীদের বয়স ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত হতে হবে। অর্থাৎ, ২০২৫ সালের আগ্নিবীর স্কিমের জন্য ২০০৪-২০০৮ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
খ) শারীরিক যোগ্যতা
প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। উচ্চতা, ওজন, দৃষ্টিশক্তি এবং শারীরিক সক্ষমতার নির্দিষ্ট মান পূর্ণ করতে হবে।
গ) শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রার্থীকে ন্যূনতম ৮ম শ্রেণী পাস হতে হবে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ম শ্রেণী (পাশ) বা তার সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
ঘ) নাগরিকত্ব
ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২. কারা এর জন্য আবেদন করা উচিত?
আগ্নিবীর স্কিম বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য উপযোগী। যদি আপনি একজন যুবক, যিনি সেনাবাহিনীতে সেবা করতে চান তবে এটি একটি চমৎকার সুযোগ হতে পারে। বিশেষভাবে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন:
ক) যারা সামরিক বাহিনীতে ক্যারিয়ার গড়তে চান
যদি আপনি ছোট বয়সে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চান এবং সশস্ত্র বাহিনীতে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো পরখ করতে চান, তাহলে আগ্নিবীর স্কিম সঠিক প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
খ) যারা দেশের সেবা করতে চান
আগ্নিবীর স্কিম এমন তরুণদের জন্য, যারা দেশ সেবা করতে চান, জাতির প্রতি আত্মনিবেদিত এবং যাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর পরিবেশে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।
গ) যারা সীমিত সময়ের চাকরি চান
আগ্নিবীর স্কিম ৪ বছরের জন্য চাকরি দেয়, তারপর আপনি এই চাকরি থেকে অবসর নিতে পারবেন বা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। যারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরি করতে চান তারা এই স্কিমে আবেদন করতে পারেন।
৩. আগ্নিবীর ২০২৫ ফর্ম ফিলাপের ভালো দিক
আগ্নিবীর ২০২৫ স্কিমের কিছু ভালো দিক রয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে:
ক) দেশের প্রতি সেবা
সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে, আপনি দেশের জন্য সেবা করার সুযোগ পাবেন। এটি আপনার জাতীয় গর্ব এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
খ) ক্যারিয়ারের সুযোগ
৪ বছরের পরে, আপনার সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতা বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে কাজে লাগবে। বিশেষ করে পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী বা বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে।
গ) শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা
সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে আপনার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি জীবনকে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ ও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
ঘ) সরকারি সুবিধা
আগ্নিবীর স্কিমে চাকরি করলে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা, স্বাস্থ্য সুবিধা, রেশন, ইনস্যুরেন্স এবং পেনশন সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ঙ) চাকরি খোঁজার সুবিধা
৪ বছরের শেষে আপনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিলেও, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত অনেক পদে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
৪. আগ্নিবীর ২০২৫ ফর্ম ফিলাপের খারাপ দিক
তবে, আগ্নিবীর স্কিমের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে, যা প্রার্থীকে বিবেচনা করতে হবে:
ক) চাকরির স্থায়িত্বের অভাব
আগ্নিবীর স্কিমে চাকরি চার বছরের জন্য সীমাবদ্ধ। এ কারণে অনেকের কাছে এটি অস্থায়ী চাকরি হিসেবে মনে হতে পারে, যা কিছু মানুষের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
খ) প্রবৃদ্ধি ও পদোন্নতির সীমাবদ্ধতা
আগ্নিবীর স্কিমে চাকরি শেষ হওয়ার পর, আপনার জন্য আর পদোন্নতির সুযোগ খুবই কম হতে পারে, কারণ এটি একটি সীমিত সময়ের জন্য দেওয়া হয়।
গ) শারীরিক চাপ
সেনাবাহিনীতে কাজ করার জন্য শারীরিক ও মানসিক চাপ অনেক বেশি থাকে। অনেক তরুণ এই চাপ সহ্য করতে না পারলে তাদের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ঘ) বিকল্প ক্যারিয়ারের খোঁজে সমস্যা
একদিকে, আপনি যদি ৪ বছর পরে অবসর নেন, তবে জীবনে একে একে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করলেও নতুন ক্যারিয়ার খোঁজা কঠিন হতে পারে, কারণ সেনাবাহিনীতে কাজ করা ব্যক্তি সিভিতে খুব স্পেসিফিক।
0 মন্তব্যসমূহ